ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের মাওবাদী আন্দোলনের কি অন্তিম টান উঠেছে? নিজেদের গড় ছত্তীসগঢ়েই টালমাটাল অবস্থা মাওবাদীদের। এমনিতেই সারা দেশে মাওবাদীদের পরিধি কমতে কমতে ছত্তীসগঢ়ের কয়েকটি এলাকায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এখন ছত্তীসগঢ়েও কোনঠাসা মাওবাদী গেরিলারা। শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার গঙ্গালুরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর হাতে ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
গঙ্গালুর এলাকার পেডিয়ায় এদিন দুপুর থেকেই মাওবাদীদের সঙ্গে পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনীর বড় মাপের সংঘর্ষের খবর আসছিল। সন্ধ্যের মুখে মাওবাদীদের প্রতিরোধ স্তব্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১২জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন। গত ১৭ এপ্রিল ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের কাঙ্কের জেলার জঙ্গলে আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের বন্দুকযুদ্ধে ২৯জন মাওবাদী জঙ্গি নিহত হয়েছিল। এক মাস না যেতেই আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে ফের বড়সড় ধাক্কা খেল মাওবাদীদের সংগঠন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সর্বশেষ ঘটনা পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ে ১০৩ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালে রাজ্যটিতে ১৩৪ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৮-য় নিহত হয়েছিল ১১২জন মাওবাদী। উনিশের পর ছত্তীসগঢ়ে এই বছরেই মাওবাদীরা সবথেকে বেশি লোকক্ষয়ের সম্মুখীন হয়েছে। বছর শেষ হতে এখনও সাতমাস বাকি। ডিসেম্বর আসতে আসতে সংখ্যাটা আরও বাড়ানোই ছত্তীসগঢ় সরকারের লক্ষ্য।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার, বিজাপুর, দান্তেওয়াড়া এবং সুকমা মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি। বিজাপুরের গঙ্গালুর এলাকার পেডিয়ার জঙ্গলে শুক্রবার দুপুরে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। মাওবাদীদের নিহত করায় অভিযানে অংশ নেওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। নিজের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে সাই লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার বলে এসেছেন, তাঁরা ছত্তীসগঢ়কে মাওবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করতে চান। ছত্তীসগঢ়ের মানুষ এখন ডবল ইঞ্জিন সরকারের সুফল পাচ্ছেন।”
Feature image is representational and collected.