দিল্লি: কলকাতা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরের সন্দেশখালির পরিস্থিতি ভয়াবহ! সোমবার কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিস্ফোরক অভিযোগ, “সন্দেশখালিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অল্প বয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে মমতার গুন্ডারা।” সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লোকেদের হাতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল গোটা বাংলা। স্থানীয় মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ কয়েকজন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হলেও এতদিন থানায় গিয়েও নির্যাতিতারা সুবিচার পান নি বলে অভিযোগ।
সন্দেশখালির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ’দিন দিল্লিতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে স্মৃতি ইরানি বলেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী। কোন মেয়ের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়, তোমাদের বউদের উপর তোমাদের কোনও অধিকার নেই। সব অধিকার আমাদের।” বেছে বেছে হিন্দু পরিবারের বউদেরকেই শেখ শাহাজাহানের বাহিনী টার্গেট করে বলে অভিযোগ করেছেন স্মৃতি। ঘটনার ভয়াবহতা বোঝাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ তাদের মন না ভরবে, ততক্ষণ ওই মহিলাদের রেহাই মেলে না গুন্ডাদের হাত থেকে।” শেখ শাহজাহানের লোকেদের হাতে নির্যাতিত হিন্দু নারীদের সকলেই সুন্দরবনের বিভিন্ন তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের দরিদ্র পরিবারের বলে জানা গেছে।
স্মৃতি ইরানি অভিযোগ করেন, “দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেশখালি এলাকায় হিন্দু পরিবারের মেয়ে-বউদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দলবল ঘরে ঘরে চড়াও হয়ে ধর্ষণ চালিয়ে গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় নি।” তিনি বলেন, “সন্দেশখালির হিন্দু পরিবারের বিবাহিতা মহিলারা এতদিন ধরে অত্যাচারের কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। মহিলারা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা পুলিশের সামনেই ঘটেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই তথ্য নেই বলে এড়িয়ে যেতেন।” সন্দেশখালিতে দলের লোকেদের হাতে নারী নির্যাতনের ঘটনা জেনেশুনেও মমতা রাজনৈতিক কারণে চুপ করে ছিলেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইরানি।
Profile graphic is representational.