সায়েন্স ডেস্ক: চাঁদের ‘ফার সাইড’ বা দূরের দিক নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের কৌতূহলের শেষ নেই। চাঁদের এই দূরের দিকে আজ পর্যন্ত নামতে পারে নি কোনও মহাকাশযান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের লক্ষ্যে রুশ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রসকসমস’-এর ‘লুনা-২৫’ মিশন শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ। এখন সারা পৃথিবীর তাবৎ মহাকাশ গবেষক তাকিয়ে ভারতের ‘ইসরো’র দিকে। বুধবার (২৩ অগাস্ট) ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের ‘ফার সাইড’-এ পা রাখার কথা ল্যান্ডার ‘বিক্রম’এর। ইতিমধ্যেই চাঁদের দূরের দিকে ভাল জমির সুলুক-সন্ধান শুরু করে দিয়েছে ভারতের বিক্রম। সোমবার টুইট করে দেশবাসীকে এই সুসংবাদটি দিয়েছে ‘ইসরো’।
চাঁদের অজানা দক্ষিণ মেরুর উঁচুনিচু জমি মহাকাশযানের জন্য বড় কঠিন ঠাঁই। ছোটবড় অসংখ্য পাথর, অজস্র খানা-খন্দ ও গহ্বরে ভরা চাঁদের এই প্রান্তে নামার মতো একটু সমতল জমি পাওয়াই দুষ্কর। তবে হাল ছাড়ার পাত্র নয় বিক্রম। মাত্র ২৫ কিলোমিটার উপর থেকে এবড়োখেবড়ো চন্দ্রবক্ষে কড়া নজর রাখছে সে। ‘ল্যান্ডার হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়েড্যান্স ক্যামেরা ‘ (এলএইচডিএসি) দিয়ে একের পর এক ছবি তুলে ইসরোর ‘গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন’-এ পাঠিয়ে বিক্রম জানতে চাইছে, কোন জায়গায় তার অবতরণ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
টুইটারে চন্দ্রপৃষ্ঠের চারটি ক্লোজআপ ইমেজ শেয়ার করে ইসরো আমাদের জানাচ্ছে, “এইগুলি বিক্রমের ‘ল্যান্ডার হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়েড্যান্স ক্যামেরা’র সাহায্যে তোলা চাঁদের দূরবর্তী অঞ্চলের ছবি।” এই ক্যামেরার কাজই হল স্বল্প উচ্চতা থেকে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে করতে ল্যান্ডারের নিরাপদ অবতরণের জমি শনাক্তকরণে নিয়ন্ত্রণকক্ষকে সাহায্য করা। বড় পাথর বা গহ্বর নেই, এমন অনুকূল জায়গায় ‘ল্যান্ডার মডিউল’কে নামানোই ইসরোর বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য। ‘ল্যান্ডার মডিউল’ ছবিগুলি তুলেছে ১৯ অগাস্ট। বিক্রমের পাঠানো ছবিগুলি দেখে সেই স্থান নির্বাচনের কাজেই এখন ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
Feature image is representational. Credit-ISRO.
Everything is going well. Eagerly awaiting the moment of soft landing of the Vikram. I’m sure, it would done. Jay Bharat.