শিলিগুড়ি: পানিট্যাঙ্কি থেকে মিরিক যাওয়ার পথে গাড়ি খাদে গড়িয়ে পড়ায় চার যাত্রীর মৃত্যু। আহত ১৫ জন। বুধবার বিকেলে পুটুংয়ের কাছে নলডারায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পানিট্যাঙ্কির ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে মোট ১৮ জন যাত্রী তুলে গাড়িটি নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিয়েছিলেন চালক। যাত্রীদের মধ্যে দু’জন শিশুও ছিল। পানিঘাটা পার হয়ে বেলগাছি চা বাগানের রাস্তা ধরে আসার সময় পুটুংয়ের কাছে নলডারায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে গড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার মুহূর্তে গাড়িটি চড়াই বেয়ে উপরে উঠছিল। একই পথে পাহাড়ের উপর থেকে আরেকটি গাড়ি নিচে নামছিল। নামতে থাকা গাড়িকে পাশ কাটিয়ে উপরে ওঠার সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারান বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। গাড়িটি গড়িয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মিরিক থানা থেকে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে নকশালবাড়ি ব্লক হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ির বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পানিঘাটা হয়ে বেলগাছি চা বাগানের ভেতর দিয়ে মিরিকে ওঠার রাস্তাটি অত্যন্ত দুর্গম ও বিপজ্জনক। ঠিক কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। ধস ও হড়পা বানের পর থেকে দুধিয়া হয়ে মিরিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকায় যানবাহন চালকেরা পুটুং-নলডারার রাস্তা ধরে পাহাড়ে চলাচল করেন।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির অধিকাংশ যাত্রীই নেপালের বাসিন্দা। দীপাবলির ছুটিতে এদের অনেকেই মিরিকে আত্মীয়দের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। মৃতদের মধ্যে ধনবাহাদুর নেপালের কাটোয়ার বাসিন্দা। বিনিতা তামাং ও ওয়াংচু তামাং মিরিকের সোরাসালে এলাকায় থাকতেন। সজনী ছেত্রীর বাড়ি নকশালবাড়ির নিরপানিতে বলে জানা গেছে