কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। উডল্যান্ডসে ভেন্টিলেশনে আছেন তিনি। রবিবার দুপুরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ৪০ মিনিট ভেতরে থাকেন শুভেন্দু। বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। হাসপাতালে উপস্থিত সিপিএমের নেতাদের সঙ্গেও আলাপ করেন তিনি।
বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এখানে সর্বোচ্চ চিকিৎসা মাননীয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহোদয় পাচ্ছেন। ডাক্তারবাবুরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে ২৪ ঘন্টা ওনার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। আমি ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছি। ডাক্তারবাবুরা বলেছেন, তাঁরা অক্সিজেন লেভেলটা ঠিক করতে পেরেছেন। আরও কিছু কিছু প্যারামিটার স্থিতিশীল হয়েছে। ওনার অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলা যেতে পারে।”
বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “আমরা যাঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাঁরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, এই রকম একজন সৎ রাজনীতিবিদ, যিনি পশ্চিমবঙ্গের দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে শ্রদ্ধার; তিনি যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।” শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি ওনার সময়ে বিধায়ক ছিলাম। এ’রকম একজন সৎ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে খুব বিরল।” শুভেন্দু অধিকারীর ভাষায়, “এ’রকম একজন সৎ রাজনীতিক দ্বিতীয়টি হবে কিনা প্রশ্নচিহ্ন আছে।”
নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম সেনাপতি হিসেবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও প্রতিপক্ষের নেতাকে প্রাপ্য সম্মান দিতে তিনি যে কুন্ঠিত নন, এই মন্তব্য দ্বারা তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপির সঙ্গে বামপন্থীদের আদর্শগত পার্থক্য মেরুতুল্য। যদিও তাতে সৌজন্য আটকে নেই। শনিবার বিকেলে খবর পাওয়া মাত্রই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে দেখে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
Feature image/graphic is representational.