আন্তর্জাতিক ডেস্ক :জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে জঙ্গি হানায় পাকিস্তানে নিহত কমপক্ষে ৩০ জন। আহত ৮০-রও বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। শুক্রবার দুপুরে পেশোয়ারের কিসসা খাওয়ানি বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। মসজিদটি শিয়া সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে।
হামলাকারীদের আটকাতে গিয়ে মসজিদের পাহারায় থাকা একজন পুলিশকর্মীও নিহত হয়েছে বলে পেশোয়ার পুলিশের এক আধিকারিক পাক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ চলাকালে দুই হামলাকারী শিয়া মসজিদটিতে জোর করে ঢুকতে চাইলে প্রবেশপথে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা বাধা দেয়। জঙ্গিরা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। আরেকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সংঘর্ষে এক হামলাকারীর মৃত্যু হলেও অপরজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়তে সমর্থ হয়। ওই জঙ্গি নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটানো মাত্রই প্রার্থনাস্থল ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে ওঠে। মসজিদের ভেতর ধোঁয়া ও আগুনে ঢেকে যায়।
কিসসা খাওয়ানি বাজার পেশোয়ারের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলির একটি। আক্রান্ত মসজিদটির চারপাশে অসংখ্য দোকান। বিস্ফোরণের পর আহতদের আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। বাজারের লোকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে দেখেন মসজিদ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মেঝে জুড়ে ছিন্নভিন্ন দেহ। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় লেডি রিডিং হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা অতি আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে নি। পাকিস্তানে শিয়া মুসলমানদের মসজিদে হামলার ঘটনা নতুন নয়। সুন্নি জঙ্গিদের আক্রমণ থেকে নামাজিদের বাঁচাতে শিয়া মসজিদগুলিতে ঢোকার ব্যাপারে পুলিশের কড়াকড়ি আছে। তারপরেও সুযোগ পেলেই শিয়া মসজিদে হামলা চালায় জঙ্গিরা।
খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের মুখপাত্র মহম্মদ আলি সাইফ জানিয়েছেন, মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন।
Photo Credit- www.dawn.com