কোচবিহার : ভালুকের পর উত্তরবঙ্গের শহরাঞ্চলে এবার চিতাবাঘ। বৃহস্পতিবার সাত সকালে কোচবিহার শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগানে এলাকার ঘটনা। মনোজ সরকার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ির শৌচালয়ের পেছনে চিতাবাঘটিকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। শৌচালয়ের জানালা দিয়ে চিতাটিকে দেখে আঁতকে ওঠেন গৃহকর্তা। এরপর জানাজানি হতেই হইচই কান্ড। চিতা দেখতে গোটা পাড়া ভেঙে পড়ে। লোকজন দেখে বেদিশা হয়ে পড়ে বন্যপ্রাণীটিও। মোবাইলে চিতার ভিডিও তুলতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। যদিও তাতে চিতাবাঘ দেখতে উৎসুকদের ভিড় কমে নি। চিতা ধরতে জাল দিয়ে এলাকার একটি অংশ ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। কয়েক ঘন্টার চেষ্টার পর ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে চিতাবাঘটিকে কাবু করতে সক্ষম হন তারা। খাঁচাবন্দি করে চিতাটিকে নিয়ে যান বনকর্মীরা।
ডুয়ার্সের চাবাগান সংলগ্ন জনবসতিতে চিতার হানা স্বাভাবিক ঘটনা। শিলিগুড়ি শহরেও বেশ কয়েকবার চিতার উপদ্রব ঘটেছে। কিন্তু কোচবিহার শহরের ভেতরে চিতাবাঘরে অনুপ্রবেশ এই প্রথম। মাস দুয়েক আগে জলপাইগুড়ি শহরে দুটি হাতি ঢুকে পড়ে। হাতি দুটিকে তাড়াতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বন দফতরকে। এরপর আসে ভালুকের পালা। ডুয়ার্সের একাধিক গ্রামে ভালুক ঢুকে পড়ে। ভালুক শাবক উদ্ধার হয় মালবাজার শহরের একটি বাড়ি থেকেও। জলপাইগুড়ি শহরে ভালুকের আতঙ্ক ছড়ালেও খোঁজ মেলে নি। বন্যপ্রাণীদের লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। বনাঞ্চলের ঘনত্ব হ্রাসই এর কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Video and Photo- Reporter.