ডেস্ক রিপোর্ট : মিশনারিজ অব চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতর । যদিও বিতর্কে জল ঢেলে দিয়েছে খোদ মিশনারিজ অব চ্যারিটি কর্তৃপক্ষই। কেন্দ্রীয় সরকার মাদার টেরিজার সংস্থার ব্যাঙ্ক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে বলে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবর বেরোয়। খবর জানাজানি হতেই সবার আগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ” বড়দিনের উৎসবের মধ্যেই মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে শুনে আমি মর্মাহত।” কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে ট্যুইট করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও।
সোমবার বিকেলে মিশনারিজ অব চ্যারিটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়,” তাদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই বন্ধ করে নি কেন্দ্রীয় সরকার। তারা নিজেরাই সমস্ত শাখাকে বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ” কিন্তু মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিবৃতিতেও সন্তুষ্ট নন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন । ডেরেক ট্যুইটে অভিযোগ করেন,”মাদারের সংস্থার বিদেশি অনুদান গ্রহণের পথ বন্ধ করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।” ডেরেকের ট্যুইটের আগেই মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিবৃতি মিডিয়ার কাছে চলে আসে। তখন মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিবৃতিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে এক হাত নিতে আসরে নামেন বিজেপির নেতারা।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, মিথ্যা খবর ছড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উস্কে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন কোনও ব্যক্তি এই কাজ করেন, তখন তার পেছনে কোনও ভুল তথ্য থাকে না। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচারের চেষ্টাতেই তা করা হয়ে থাকে। ” শুভেন্দু ট্যুইটে লেখেন- কিন্তু ” সত্য সব সময় জয়ী হয় এবং যারা সত্যের পক্ষে থাকে সত্য তাঁদের হয়েই কথা বলে। ” মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে ট্যুইট করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও।
Feature Photo – Collected.