প্রতিষ্ঠা দিবসের সকালে কংগ্রেসের সদর দফতরে শীর্ষ নেতৃত্বের চোখের সামনেই দলের ধ্বজের পতন কীসের ইঙ্গিত দিল কে জানে!
জন্মদিনেই স্তম্ভ থেকে ধ্বজপতন কংগ্রেসের! মঙ্গলবার দলের ১৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে খোদ সোনিয়া গান্ধীর সামনেই জাতীয় কংগ্রেসের সদর দফতরে এমন অশুভ কান্ডে অস্বস্তিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সকালে নয়াদিল্লির ২৪, আকবর রোডে দলের সদর দফতরে পতাকা উত্তোলন করতে যান কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া চরখা খচিত ত্রিবর্ণ রঞ্জিত দলীয় পতাকা উত্তোলন করার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যান্ডের উপর থেকে পতাকাটি পড়ে যায়। সোনিয়া গান্ধীর হাতের উপরেই এসে পড়ে পতাকাটি। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা সহ দলের শীর্ষ নেতারা তখন পতাকা স্তম্ভ ঘিরে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে। দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সেবা দলের কয়েক শত স্বেচ্ছাসেবকও। সবার চোখের সামনে দলের ধ্বজ পড়ে গেল। সবাই হতভম্ব। বিব্রত। উপস্থিত কর্মীরা ফের পতাকাটিকে খুলে উত্তোলন করার চেষ্টা করতে থাকেন। পতাকা পুনরায় উত্তোলনের অনেক চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সফল হন নি কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবকেরা। বাধ্য হয়ে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী , সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল এবং কোষাধ্যক্ষ পবন বনশল হাত দিয়ে ধরে পতাকা প্রদর্শন করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। পরে কংগ্রেস সেবাদলের এক স্বেচ্ছাসেবক পতাকাটিকে স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে দেন।
১৮৮৫ সালের আজকের দিনেই ( ২৮ জানুয়ারি ) বোম্বাই ( বর্তমানে মুম্বাই ) শহরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা। ১৩৬ বছরের রাজনৈতিক দল। কংগ্রেসকে বলা হয় দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি অব ইন্ডিয়া। স্বাধীনতার পর সুদীর্ঘ সময় ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে লড়াইটা ছিল কংগ্রেস বনাম সমস্ত অকংগ্রেসী দলের। ধীরে ধীরে দেশে গুরুত্ব হারাতে শুরু করে কংগ্রেস। নিঃসন্দেহে গত সাত বছর জাতীয় কংগ্রেসের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা দুঃসময়ের পর্ব। লোকসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা লাভের মতো সংখ্যাও পর পর দুটি সাধারণ নির্বাচনে জোটাতে পারে নি ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটি!
কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়াই বিজেপির ঘোষিত রাজনৈতিক লক্ষ্য। তৃণমূল, এনসিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো যে সব দল কংগ্রেসের গর্ভ থেকেই জন্ম নিয়েছে কংগ্রেসের প্রাধান্য স্বীকারে তাদেরও আজ তীব্র অনীহা। আগামী দিনে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কী তা সময়ই বলবে। প্রতিষ্ঠা দিবসের সকালে কংগ্রেসের সদর দফতরে শীর্ষ নেতৃত্বের চোখের সামনেই দলের ধ্বজের পতন কীসের ইঙ্গিত দিল কে জানে!
Photo,Video and news source – ANI Twitter.