ঘটনার নেপথ্যে প্রেম ঘটিত ঝামেলা থাকতে পারে বলে অনুমান
জলপাইগুড়ি : ভিডিও কল করে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই তিস্তায় ঝাঁপ দিল যুবক । রবিবার রাত বারোটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ির তিস্তা সেতুতে । প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ধীরাজ প্রজাপতি নামে ২৯ বছরের ওই যুবকের খোঁজ মেলে নি। ধীরাজ নদীতে তলিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা। সোমবার সকাল থেকেই দেহের সন্ধানে নেমেছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ।
ধীরাজ প্রজাপতির বাড়ি জলপাইগুড়ির রানীনগর বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায়। ধীরাজের দাদা মনোজ প্রজাপতি জানিয়েছেন,ভাই দোকান করত । রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ধীরাজ স্কুটিতে চেপে কখন তিস্তা সেতুতে চলে আসে তা জানতে পারে নি বাড়ির লোকেরা। রাত বারোটা নাগাদ হঠাৎই ধীরাজ বাড়িতে ভিডিও কল দেয় বলে দাদা মনোজ প্রজাপতি জানিয়েছেন। ভিডিও কলে আত্মহত্যার কথা বলতে বলতেই সেতু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। মনোজ জানান,” ভাইয়ের এই কান্ড দেখে আমরা সবাই হতচকিত হয়ে যাই। বুঝিয়ে নিরস্ত করার আগেই ধীরাজ ঝাঁপ দেয়। খানিক বাদে সম্বিত ফিরতেই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটা পুলিশকে জানাই। ” রাতেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন বাড়ির লোকজন। সেতুতে ধীরাজের স্কুটিতে পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশও । খোঁজাখুঁজি শুরু হয় । কিন্তু ধীরাজের সন্ধান মেলে নি।
ঝাঁপ দেওয়ার সময় ধীরাজ প্রজাপতি নেশাগ্রস্ত ছিল বলে এক প্রতিবেশীর সূত্রে জানা গেছে। ঝাঁপ দেওয়ার আগে নিজের বন্ধুদেরও ফোন করে জানায় সে। সবাই ফিরে আসতে বলে । কিন্তু কারও অনুরোধে কান না দিয়ে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ধীরাজ। ঠিক কী কারণে যুবকটি তিস্তায় মরণঝাঁপ দিল তা এখনও পরিস্কার নয় । তবে ঝাঁপ দেওয়ার আগে ধীরাজ একটি মেয়েকেও ভিডিও কল করেছিল বলে বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন মেয়েটিকেও ধীরাজ আত্মহত্যার কথা বলেছিল বলে জানা যাচ্ছে। মেয়েটির বাড়ি অসমে। ঘটনার নেপথ্যে প্রেম ঘটিত কোনও ঝামেলা রয়েছে বলে যুবকটির আত্মীয়দের অনুমান ।
ফিচার ইমেজ প্রতীকি। ছবি ও ভিডিও-সংবাদদাতা।