জলপাইগুড়ি : তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও দোকানঘরের বন্টন সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি দিনবাজারের নতুন পাঁচতলা মার্কেট কমপ্লেক্স। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের আগেই কমপ্লেক্সে কিছু দোকান ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে রবিবার আশ্বাস দিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
২০১৫-র ৭ মে রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয় দিনবাজারের শতাব্দী প্রাচীন টিনশেড। ১৩২জন দোকানমালিক সর্বস্বান্ত হন । ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দিতেই পুড়ে যাওয়া টিনশেড চত্বরে পাঁচতলা আধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। মার্কেট কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি টাকা। কাজ শেষ হয়ে গেছে অনেক দিন আগেই। কমপ্লেক্সে ৩৩৭টি দোকানঘর রয়েছে। রয়েছে তিনটি লিফটও। কিন্তু দোকান বিতরণের শর্ত নিয়ে পুরসভার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বনিবনা না হওয়ায় বিতরণের কাজ থমকে আছে। পুরসভার কাছে কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৩৮টি , ফার্স্ট ফ্লোরে ৪৫টি এবং সেকেন্ড ফ্লোরে ৩৬টি দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্টন করে দিতে পুরসভার কাছে প্রস্তাব দিয়েছে দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
এ’বার যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে কমপ্লেক্সে ঘর তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। শনিবার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন,৯৯ বছরের লিজে জমির মালিকদের হাতে দোকানঘর তুলে দেওয়া হবে। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমির মালিকদের দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। দোকানদারদের ৩০ বছরের লিজে দোকান দেওয়া হবে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে দোকানদারদের হাতে দোকান তুলে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলা হবে বলে আশ্বাস দেন সৈকতবাবু। কমপ্লেক্সের জন্য পৃথক ট্র্যান্সফর্মার বসানোর কাজ এখনও বাকি আছে। ট্র্যান্সফর্মার বসাতে ৫২ লক্ষ টাকা খরচ হবে । এই খরচ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরেরই দেওয়ার কথা। এই ব্যাপারে এনবিডিডি’র সচিব বিভাগীয় কমিশনার, জলপাইগুড়িকে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
Photo & Video- Reporter.