কলকাতা : পুরসভার বাকি নির্বাচন গুলিতে যেন অশান্তি না হয় – শুক্রবার বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ডেকে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কলকাতার পুরভোটের আগেও একাধিকবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করে নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারেও কমিশনকে ভেবে দেখতে বলেছিলেন ধনখড়। রাজ্যপালের আগ্রহ সত্ত্বেও কলকাতার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে নি নির্বাচন কমিশন। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার পুরভোট নিয়ে অনিয়মের ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ বিরোধীদের। কমিশন তাতে কর্ণপাত না করায় আদালতের দ্বারস্থ বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়,তারা ২২ জানুয়ারি হাওড়া , আসানসোল, চন্দননগর , বিধাননগর এবং শিলিগুড়ি কর্পোরেশনে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮টি পুরসভায় ভোট করতে প্রস্তুত। কমিশন বাকি পুরসভাগুলিতে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতেই শুক্রবার সকালে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাজভবনে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।পুরভোটের দিন কলকাতায় অশান্তি ও অনিয়মের অভিযোগগুলি পাওয়ার পর কমিশন কী পদক্ষেপ করেছে তা সৌরভ দাসের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চান ধনখড়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে কমিশনের পক্ষে গোলমাল নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হত কিনা জানতে চান রাজ্যপাল ।
কলকাতা পুরভোটের থেকে শিক্ষা নিয়ে বাকি পুরভোটগুলিতে নিরাপত্তার ঘাটতি মেটাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে পরামর্শ দেন রাজ্যপাল। বকেয়া ভোটগুলিতে যাতে আর কোনও গোলমাল না হয়, সেই ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক করেন জগদীপ ধনখড়। নির্বাচনে নিরাপত্তায় কোনও শিথিলতা দেখতে চান না রাজ্যপাল। তৃণমূল অবাধে ছাপ্পা ও গা জোয়ারি চালিয়ে পুরভোটকে প্রভাবিত করেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে বিজেপি ও বামকংগ্রেসের অভিযোগ।
Photo Source – Raj Bhavan, Kolkata.