জলপাইগুড়ি : অক্সিজেনের অভাবে অ্যাম্বুলেন্সেই করোনা রোগীর মৃত্যু। মঙ্গলবার রাতে রোগীটিকে জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় পথেই এই ঘটনা ঘটে। এমনই অভিযোগ মৃতের স্বজনদের। যদিও অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে জলপাইগুড়ির কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জলপাইগুড়ি শহরের সার্ফের মোড় এলাকার বাসিন্দা অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ( ৪২ ) করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় কোভিড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাঁকে এনবিএমসি’তে রেফার করেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে রোগীকে নিয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আত্মীয়রা । শিলিগুড়িতে ঢোকার মুখেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে পথেই অনির্বাণের মৃত্যু হয়। রোগীর বাড়ির লোকদের রোষের মুখে পড়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স ফেলেই চালক পালিয়ে যায় বলে খবর।
অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই বছর ধরে তিনি কিডনির সমস্যাতেও ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। জামাইয়ের মৃত্যুর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন অনির্বাণের শ্বাশুড়ি বনানী বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা না করে সিলিন্ডারটি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন বনানীদেবী । অক্সিজেনের অভাবেই রোগী অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে ছটফটিয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। মেডিকেল কলেজে না গিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করলে চালক অ্যাম্বুলেন্স ফেলেই পালিয়ে যায়। পরে বেসরকারি সংস্থার একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহ জলপাইগুড়ির কোভিড হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। সেখানে মৃতের বাড়ির লোক ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
যদিও অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলা হাসপাতালের সুপার ডঃ গয়ারাম নস্কর বলেন, ” মৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোমর্বিডিটিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ” মৃতের বাড়ির লোক চড়াও হলে অ্যাম্বুলেন্স চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে দাবি করেন হাসপাতাল সুপার ।
Photo and Video- Reporter.