গাড়ির কাচে ঢিল পড়লে বাবুল গাড়ি থেকে নেমে হামলাকারীদের সঙ্গে পাঙ্গা নিতে দেরি করেন না। তা তিনি বিজেপির বাবুলই হন আর তৃণমূলের।
ডেস্ক রিপোর্ট : বিজেপি হোক আর তৃণমূল। বাবুল সুপ্রিয় যখন যেই শিবিরের হয়েই খেলুন, বাবুলের গাড়িকে টার্গেট করে প্রতিপক্ষ । বিজেপির বাবুলের গাড়িতে বহুবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বাবুল সুপ্রিয় এখন তৃণমূলে । শনিবার ত্রিপুরায় পুরভোটের প্রচারে বেরিয়ে বিজেপির হামলার মুখে পড়লেন তৃণমূলের বাবুল । তেমনই অভিযোগ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। ট্যুইট করে অভিযোগ জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। যে গেরুয়া বাবুল আসানসোলে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন সেই বাবুল নীলসাদায় রূপান্তরিত হয়ে গেরুয়াদের হাতে আক্রান্ত হলেন আগরতলায় । বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে গেলে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল মারা হয় । ট্যুইটারে বাবুল লিখেছেন, ” আগরতলায় মারমুখী জনতার কবলে পড়েছিলাম । গাড়িতে পাথর ছোড়া হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামতেই কাপুরুষগুলো পালিয়ে যায়। লজ্জা ও মজার বিষয় হল , বিজেপি যে রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে প্রচার চালায়,ত্রিপুরাতে তারা সেই পথই অনুসরণ করছে দেখলাম।”
গাড়ির কাচে ঢিল পড়লে বাবুল গাড়ি থেকে নেমে হামলাকারীদের সঙ্গে পাঙ্গা নিতে দেরি করেন না। তা তিনি বিজেপির বাবুলই হন আর তৃণমূলের। বাবুল শিবির পাল্টালে বাবুলের শত্রু-মিত্রও পাল্টে যায়। ঠিক যেমন ভাইচুং ভুটিয়া ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগানে গেলে ভাইচুংয়ের শত্রু-মিত্রদের রং পাল্টে যেতো । আবার ভাইচুংয়ের মতোই বাবুল যখন যে দলের হয়েই খেলুন নিজের সেরাটা উজাড় করে দেন । বাবুল সুপ্রিয় দাবিও করেন তেমনটি – ” যখন যে দলের হয়ে খেলি দাপিয়ে খেলি । ফরওয়ার্ডে খেলি । ” ত্রিপুরায় বাবুল সুপ্রিয়র যে গাড়িতে হামলা হয়েছে তা বাবুলের ব্যক্তিগত কিনা জানা যায় নি। বিজেপিতে থাকার সময় বাবুলের ব্যক্তিগত গাড়ি বেশ কয়েকবার উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়েছিল । দলের কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা থেকে নিজের গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে বাবুলের চিন্তা বেশি – এই রকম একটি আওয়াজ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজেপি শিবিরে উঠেছিল । এই নিয়ে বেশ খিল্লিও উঠেছিল সামাজিক মাধ্যমে। শনিবারও বাবুলের ট্যুইটের পরেই ফের পুরোনো প্রসঙ্গ চাগিয়ে তুললেন বাবুলের প্রাক্তন সতীর্থরা। রিট্যুইট করে খোঁচা দিতেও ছাড়েন নি কেউ কেউ। গাড়ি অক্ষত আছে কিনা
বাবুলের কাছে জানতে চেয়েছে অনেকেই।
প্রাক্তন সতীর্থদের ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ে চুপ করে থাকার বান্দা নন বাবুল সুপ্রিয়। জবাবি ট্যুইটে বাবুল লিখেছেন, ” আমার গাড়ি কখনওই নিরাপদ নয় । বাধার মুখে পড়লেই গাড়ি থেকে নেমে পড়ে মোকাবিলা করি আমি। মনে করুন কে জিতেছে। ২০১৪য় একমাত্র আসন জয়। ২০১৯ -এ ফের জয়লাভ। কার শিরদাঁড়া আছে আপনাদের দলকে ছাড়ার ? মাঝপথে সাংসদ পদ ছাড়ার ? “বাবুলের সাফকথা – বাবুল আছে বাবুলেই । জার্সির রং যাই হোক বাবুল ফরওয়ার্ডে খেলে যাচ্ছেন ।
Photo Courtesy – Babul Supriyo Official FB page.