হাইলাইটস –
- উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন সভাপতি হলেন ডঃ চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য।
- উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন বেফাঁস বলে সরকারকে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দেন মহুয়া দাস।
- সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর ধর্মীয় পরিচয়কে তিনবার উল্লেখ করে সাংবাদিকদের পর্যন্ত হকচকিয়ে দেন মহুয়া।
- মেধার চাইতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যালঘু পরিচয়কে বড় করে দেখিয়ে সরকারকে খুশী করতে গিয়ে উল্টে বিপদে ফেলে দেন মহুয়া দেবী।
- নিজের মন্তব্যের সমর্থনে অনেক সাফাই দিলেও শেষ পর্যন্ত পার পেলেন না মহুয়া। তাঁকে বিদেয় করে ছাড়ল সরকার।
কলকাতা : উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে মহুয়া দাসকে বিদায় করল সরকার । মহুয়ার জায়গায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে আনা হয়েছে । শুক্রবার দুপুরে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে ডঃ চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষা দফতর ।
দিন কয়েক আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করতে গিয়ে বেফাঁস কথা বলে সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছিলেন মহুয়া দাস । পরীক্ষা না হওয়ায় এবার উচ্চ মাধ্যমিকে কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করে নি সংসদ । কিন্তু সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকের কথা বলতে গিয়ে নাম উল্লেখ না করে তার ধর্মীয় পরিচয়টিকেই বারে বারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন মহুয়া দাস । সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ছাত্রীটির মুসলমান পরিচয় বড় করে দেখানোয় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায় । বাম-ডান নির্বিশেষে ঘটনার নিন্দা করে সবাই । পরীক্ষার ফল নিয়েও সরকার সংখ্যালঘু তাস খেলছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মহুয়া দাসের পেছন থেকে সরে দাঁড়ায় শাসক দলও । মহুয়ার মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও । ঘটনার পরপরই বাজারে কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়ে , সংসদ সভাপতির পদ থেকে মহুয়াকে সরিয়ে দিতে চলেছে সরকার ।
খুশি করতে গিয়ে সরকারকে উল্টো বিপদে ফেলে দিয়েছেন , এটা উপলব্ধি হওয়ার পর নিজের বক্তব্যের সমর্থনে সাফাই দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেন নি মহুয়া দেবী । আবেগের বশে বলে ফেলেছিলাম বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি । কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজে নি। মহুয়ার কথায় সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে টানাটানি হওয়ায় ঘটনায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী বেজায় চটেছিলেন বলে শোনা যায় । মন্তব্যের জেরে মহুয়া দাসকে শো কজও করেছিল শিক্ষা মন্ত্রক । বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে মহুয়ার কোনও অজুহাতেই কান দেয় নি সরকার । শেষ পর্যন্ত তাঁকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে বিদায় করলেন ব্রাত্য বসু।