বেদনাবিধুর ১৪ আগস্ট ! দেশভাগের দুঃখ ভারাক্রান্ত স্মৃতি মনে করালেন মোদী
দেশভাগের যন্ত্রণা ভোলা সম্ভব নয় – নরেন্দ্র মোদীর ট্যুইট
১৪ আগস্ট ‘ ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস ‘ হিসেবে পালিত হবে বলে শনিবার সকালে ট্যুইট করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন – ‘ দেশভাগের যন্ত্রণা কোনও দিন ভোলা সম্ভব নয় । নির্মম ঘৃণা ও হিংসার জেরে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাইবোনকে এবং প্রাণ গিয়েছিল নিযুত মানুষের । আমাদের জনগণের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের স্মরণে ১৪ই আগস্ট পালিত হবে ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস হিসেবে । ‘ আরও একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছেন –‘ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে সামাজিক বিভাজন ও অসম্প্রীতির বিষ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে একাত্মতা , সামাজিক সম্প্রীতি ও মানবিক স্বশক্তিকরণের মনোভাবকে আরও দৃঢ়তর করে তুলতে হবে । ‘
আজ থেকে ৭৪ বছর আগে স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে সাথেই দেশ ভেঙে দু’টুকরো হয়ে যায় । পূর্বে ও পশ্চিমে বিরাট অংশ রাতারাতি পরভূমিতে পরিণত হয় । লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর জীবনে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট । হাজার হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারায় । সাম্প্রদায়িক হিংসায় প্রাণ যায় অগুণতি মানুষের । হাজার হাজার নারীর সম্ভ্রম নষ্ট হয় । পশ্চিম প্রান্তের মানুষ দেশভাগের ক্ষত অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারলেও পূর্বে বাঙালির গলায় আজও কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে দেশভাগ । পূর্ব পাকিস্তান বিলয় হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে ভারতের সহযোগিতায় । কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশেও বাঙালিহিন্দুর নির্যাতন প্রতিদিনের ঘটনা । এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ আগস্ট মোদীর ‘ ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস ‘ পালনের ডাক রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । এই প্রথম ভারতের কোনও রাষ্ট্রপ্রধান বেদনাবিধুর ১৪ আগস্ট দিনটিকে এইভাবে স্মরণ করলেন ।
১৪ আগস্টের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত ভেদভাব , বিভাজন ও অসম্প্রীতির বিষ থেকে নাগরিকদের মুক্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । দেশভাগের এই বিয়োগান্তক দিনেই একাত্মতা , সামাজিক সম্প্রীতি ও মানুষের ক্ষমতায়নে আরও বেশি উদ্যমী হতে দেশবাসীর প্রতি আবেদনও রেখেছেন মোদী ।
Archive Photo.