১৬ মে , ২০২১ : স্বদেশী ভ্যাকসিন ‘ কোভ্যাক্সিন ‘এর ওপর আস্থার অভাব আমাদের অনেকেরই । গোড়ায় দেশের অনেক চিকিৎসকও ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর‘এর যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুত কোভ্যাক্সিন টিকা নিতে রাজি হন নি । অথচ এখন ইউরোপের গবেষণা সংস্থা গুলিও কোভ্যাক্সিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ । ব্রিটেনের অক্সফোর্ড অ্যাকাডেমির জার্নাল ‘ ক্লিনিক্যাল ইনফেকসস ডিজিজ ‘ জানাচ্ছে , ভারতে প্রস্তুত কোভ্যাক্সিন করোনার সবথেকে সংক্রমক তিনটি প্রজাতিকেও রুখে দিতে সক্ষম । একটি ভারতীয় B1617, আরেকটি ব্রিটিশ B117 এবং D614G নামে আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট , যা ইউরোপ জুড়ে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে । ভারত বায়োটেকের যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এলা রবিবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই তথ্যটি শেয়ার করেছেন ।
‘ ক্লিনিক্যাল ইনফেকসস ডিজিজ ’ এর রিপোর্টটি উল্লেখ করে সুচিত্রা এলা জানিয়েছেন , D 614 G নামক করোনা ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে মানবদেহে কোভ্যাক্সিন যতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম তার থেকে সামান্য কম কাজ দেয় করোনার ডাবল মিউট্যান্ট ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়্যান্ট B1617 এর বিরুদ্ধে । উনিশবিশ তারতম্য বাদ দিলে করোনার অতি সংক্রমক ভারতীয় প্রজাতির বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা যথেষ্টই আশাপ্রদ বলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’ ও আইসিএমআর’এর যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে ।
সুচিত্রা এলার ট্যুইট । |
দেশবাসীর একাংশের সন্দেহের তালিকায় থাকা ভারতীয় কোভ্যাক্সিনকে সম্প্রতি দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্থনিও ফ্যাসিও । কোভ্যাক্সিন করোনার ডবল মিউট্যান্ট B1617 প্রজাতিকে রুখে দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন অ্যান্থনিও ফ্যাসিও । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারত জুড়ে বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে দুই বার রূপান্তরিত কোভিড নাইন্টিনের অতি সংক্রমক ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়্যান্টের কারণেই । এই পরিস্থিতিতে ভারতে প্রস্তুত করোনা টিকার কার্যকারিতার প্রমাণ নিঃসন্দেহে মানুষের মনে আশার সঞ্চার করবে ।