বর্ধমানের সভায়ও নন্দীগ্রামের ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, ‘ নন্দীগ্রামে বাংলার মানুষ দিদিকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছেন । বাংলায় দিদির জামানা শেষ হয়ে গেছে । বাংলায় একবার যে যায় সে আর ফিরে আসে না । কংগ্রেস আর ক্ষমতায় ফিরে আসে নি । বামেরা ফিরে আসে নি। দিদি আপনিও একবার গেলে আর ক্ষমতায় ফিরে আসবেন না। ‘
চার দফাতেই বিজেপির সেঞ্চুরি পার : বর্ধমানে মোদী উবাচ । |
এদিন বর্ধমানের তালাত সাঁই সেন্টারে বর্ধমানের চাল ও মিহিদানার সুখ্যাতি দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । এরপরেই মোদীর প্রশ্ন , দিদির কি বর্ধমানের মিহিদানা পছন্দ নয় ? মোদী টিপ্পনি কেটে বলেন, ‘ আমি তাজ্জব হয়ে যাই দিদি এত তেতো তেতো কথা পান কোথা থেকে । ‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেড়ে চলা ক্রোধ , গুস্সা , ঘাবড়ে যাওয়া ও কুকথার কারণ তিনি খুঁজে পেয়েছেন বলে সভায় দাবি করেন মোদী । দিদির প্ল্যান জনগণ ভেস্তে দিয়েছে দেখেই দিদির রাগ বেড়ে গেছে বলে কটাক্ষ করেন মোদী । তিনি বলেন, ‘ বাংলার মানুষ দিদির অনেক বড় পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন । বাংলার জনতা খুব সমঝদার । খুব দূরদর্শী । দিদি প্রস্তুত হয়ে বসেছিলেন ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা সঁপে দেবেন বলে । কিন্তু দিদির এই খেলা জনতা সময় থাকতেই বুঝে ফেলেছেন । ‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো টিমকেই বাংলার মানুষ মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যেতে বলেছে বলে দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী ।
বর্ধমানের তালাত সাঁই সেন্টারে মোদীর সভায় মানুষ । |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতাদের দলিত , আদিবাসী ও তফসিলি জাতির মানুষের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা নেই বলে বর্ধমানের সভায় অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর অভিযোগ, ‘ রামমোহন , বিবেকানন্দ , রামকৃষ্ণ , হরিচাঁদ ঠাকুরের বাংলায় দিদির কাছের নেতা তফসিলি জাতির মানুষদের অপমান করেছেন। দলিতদের ভিখারি বলেছেন । এই ব্যাপারে মুখ খোলেন নি দিদি । আপনি এটা ঠিক করলেন না দিদি । বাংলার মানুষ এটা মেনে নেবে না। ‘