প্রদ্যুৎ দাস , জলপাইগুড়ি, ১০ জানুয়ারি : দলের ভেতরে ক্ষোভ থাকার যথেষ্টই কারণ আছে বলে ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র । শনিবারও দিনভর জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে ব্যস্ত থাকতে হল দলের কোর কমিটির সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকে । এদিন ধুপগুড়ি বিধানসভা ক্ষেত্রের জনপ্রতিনিধি এবং ব্লক তৃণমূলের পদাধিকারী ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে দলের ভেতরে অসন্তোষের শেকড় কত গভীরে তা টের পেয়েছেন ওমপ্রকাশবাবু ।
শনিবারও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দিনভর বৈঠক করেন ওমপ্রকাশ মিশ্র |
ওমপ্রকাশ মিশ্রর সামনেই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বলে জানা গেছে । সবদেখে শুনে ওমপ্রকাশ বাবুর উপলব্ধি দলের নেতাকর্মীদের ক্ষোভের যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে । সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্য তৃণমূলের কোর কমিটির এই নেতা বলেন, ‘ ক্ষোভ থাকাটা কিন্তু অস্বাভাবিক নয় । পাশাপাশি ক্ষোভ প্রশমনের যে প্রক্রিয়াটা পার্টিতে চলছে তাতে অসন্তুষ্ট নেতাকর্মীরা একটা দিকনির্দেশনাও পেয়েছেন। ‘ কী সেই দিকনির্দেশনা ? ধুপগুড়ি তৃণমূলের সংগঠনে বেশ কিছু রদবদল আসন্ন বলেই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন ওমপ্রকাশবাবু । নিয়মমাফিক তৃণমূলের জেলা কমিটি দ্বারা তা ঘোষিত হলেও কোন পদে কাকে সরিয়ে কাকে আনা হবে তা ওমপ্রকাশ মিশ্রর হস্তক্ষেপেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে । লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিচার করে যাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলি ঠিক নয় বলে মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের এই রাজ্য নেতা । লোকসভা নির্বাচনের ফলের ওপর মূল্যায়ন করে সাংগঠনিক স্তরে আর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র ।
ওমপ্রকাশ মিশ্রের পদক্ষেপে একপক্ষ তুষ্ট হলেও আরেক পক্ষ রুষ্ট হবে না তো ? |
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সংগঠনে ওমপ্রকাশ মিশ্রর এহেন হস্তক্ষেপে দলে এক পক্ষের অসন্তোষ মিটলেও অপর পক্ষের অসন্তোষ বেড়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান । ভোটের মুখে সাংগঠনিক স্তরে রদবদল জেলা তৃণমূলের সভাপতি কতটা ভালভাবে নেন এখন এটাই দেখার । দলের সংগঠন নিয়ে শনিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে ওমপ্রকাশবাবু যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাতে তৃণমূলের জেলা সভাপতির মনঃক্ষুণ্ণ হওয়ার কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।