পোস্টে অভিযোগের সুরে শতাব্দী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় দলের কাজে যুক্ত থাকতে চাইলেও দলের কেউ কেউ হয়ত চায় না তিনি মানুষের কাছাকাছি যান । তাঁকে দলীয় কর্মসূচীর খবর জানানো হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন বীরভূমের সাংসদ । দলের কাজকর্ম না করতে পেরে ভীষণ মানসিক কষ্টে আছেন শতাব্দী । অভিযোগের তীর কার দিকে তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না কারোরই । তবে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নাম না করে অভিযোগ জানিয়েই ক্ষান্ত নন তিন বারের সাংসদ । নতুন বছর থেকে তিনি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন এই সাংসদ কাম অভিনেত্রী । এই পর্যন্ত তবু ঠিক ছিল কিন্তু শেষ লাইনে এসেই বিকেলের পর থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে হইচই বাঁধিয়ে দিয়েছেন অ্যাকট্রেস টার্নড পলিটিশিয়ান ।
বীরভূমে আমার নির্বাচন কেন্দ্রের মানুষের প্রতি-
2021 খুব ভালো কাটুক। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন।এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। আমি তাঁদের বলছি যে আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়। গত দশ বছরে আমি আমার বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার, এটা শত্রুরাও স্বীকার করে। তাই এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। 2009 সাল থেকে আপনারা আমাকে সমর্থন করে লোকসভায় পাঠিয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাদের ভালোবাসা পাব। সাংসদ অনেক পরে, তার অনেক আগে থেকেই শুধু শতাব্দী রায় হিসেবেই বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবেসে এসেছেন। আমিও আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী 16 জানুয়ারি 2021 শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব।
© শতাব্দী রায়
ফেসবুকে শতাব্দী রায়ের যে ছবি নিয়ে গুঞ্জন |
শনিবার বারবেলার চৌকাঠ পেরুলেই কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন শতাব্দী রায়? অনেকেই চাপা হাসি হেসে বলতে চাইছেন , গেরুয়া বসনে সোস্যাল মিডিয়ায় হাজির হয়ে টলিপাড়ার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তো বুঝিয়েই দিচ্ছেন সমঝদারো কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যায় ।
ছবি-শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত