বক্তৃতায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন , ১৯৯৮ সাল থেকেই আরামবাগকে চেনেন তিনি । তখন এই এলাকার ৮০ শতাংশ বুথে বিরোধীরা এজেন্ট বসাতে পারত না। ২০১১র মধ্যে আরামবাগ মহকুমায় পরিস্থিতি পরিবর্তনে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু । তবে ২০১১র পর সরকার পরিবর্তন হলেও মানুষ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পায় নি বলে মনে করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ তৃণমূলের সাড়ে নয় বছরের শাসনে রাজ্যে কোনও নতুন শিল্প আসে নি । সিঙ্গুরে সর্বনাশ করে দিয়েছে । সরকার না করল শিল্প । না করল ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা । সিঙ্গুরের মানুষ লোকসভা নির্বাচনেই তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে । সামান্য মাইনের চাকরি পেতেও পাঁচ-সাত লাখ করে টাকা দিতে হচ্ছে যুবকযুবতীদের । ‘
আরামবাগে রোড শো শেষে ভাষণ দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী |
রোড শো শেষে ভিড়ে ঠাসা জনতাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ রাজ্য সরকারের নিজের কোনও প্রকল্প নেই । কেন্দ্রের সব প্রকল্পকে নাম পাল্টে চালাচ্ছে । ‘ আবাস যোজনায় ঘর পেতে হলেও কুড়ি হাজার টাকা করে কাটমানি দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দুবাবু । ভাষণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাশ্রী বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন নি শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ বিজেপি সরকারে এলে দুটো পুরস্কার আমরা দেবো বলে ঠিক করেছি । একটা মিথ্যাশ্রী । পাবেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আরেকটি তোলাশ্রী। পাবেন ওনার কীর্তিমান তোলাবাজ ভ্রাতুষ্পুত্র ।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ আপনারা বলুন তো , আপনাদের চোখের সামনে দিয়ে তোলা ওঠে না ? বালির গাড়ি গুলো থেকে তোলা তোলে না ? গাড়ি গুলো থেকে প্যাড দেখায় না ? আর প্যাড দেখালে পুলিশ গাড়ি ছেড়ে দেয় না ? সাড়ে তিন হাজার টাকা করে পার গাড়িতে পায় না ? ‘
হুগলীর আরামবাগে বিজেপির রোড শোতে শুভেন্দু অধিকারী |
নিজের ছেড়ে আসা রাজনৈতিক দলকে আবারও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী । এই জন্যই তিনি দল ছেড়ে এসেছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু । আরামবাগে বিজেপির রোড শো এবং শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাবে তৃণমূল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে কোন অস্ত্র ছোঁড়েন এখন এটাই দেখার।